আমাদের বাংলাদেশের মানচিত্রে দৃষ্টি দিলে মনে হবে মেঘনা নদী সেই আসাম থেকে প্রবাহিত হয়ে হবিগঞ্জ ও সিলেট বিভাগের নীচ দিয়ে এসে মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হয়ে ভৈরব এসেছে। তাপর ভৈরব থেকে নরসিংদী হয়ে ভন্ডারচর, চরভাষানিয়া হয়ে বিশনন্দী, টেটিয়া, দয়াকান্দা, গ্রামের সামনে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খাগকান্দা ও কালাপাহাড়িয়া মিলিত হয়ে নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরীতে মিশে গিয়েছে। এই মেঘনা নদীতে বিভিন্ন এলাকার জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। মেঘনা নদী পথে লোক চলাচলসহ বিভিন্ন মালাবাহী নৌযান চলাচল করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আসা-যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। বিশনন্দী ইউনিয়ন থেকে মেঘনা নদীর একটি শাখা আড়াইহাজার উপজেলার প্রসিদ্ধস্থান নদী বন্দর গোপালদী বাজার হয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের সাথে মিলিত হয়েছে। এই মেঘনা নদী আমাদের উপজেলার গৌরব। এই নদীটি অত্র এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ষার পানিতে অত্র এলাকার জমিগুলোতে উর্ভর পলি মাটি ফেলে দিয়ে শস্য উৎপাদনে সহায়তা করছে।
আড়াইহাজার উপজেলার উত্তর-দক্ষিণ বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে প্রমত্তা মেঘনা নদী। উপজেলার বিভিন্ন অংশে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে রয়েছে। বর্ষাকাল ব্যতিত ব্রহ্মপুত্রের শাখা প্রশাখাগুলোতে কোন নাব্যতা থাকেনা।