ঢাকার সন্নিকটে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার প্রান কেন্দ্রে আড়াইহাজার পৌরসভার মধ্যে এক মনোরম পরিবেশে আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অবস্থিত। শতবর্ষের পুরাতন এ বিদ্যালয়ে রয়েছে এল আকৃতিবিশিষ্ট প্রাচীন একটি দ্বিতল ভবন, একটি মডেল ভবন, এবং দুটি দ্বিতল ভবন। বিদ্যালয়ে রয়েছে দু’টি খেলার মাঠ। যেখানে প্রতি বছর স্কুলপর্যায়ের এবং থানা পর্যায়ের সকল খেলাধূলা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি ১৮৯৭ সালে স্কুল এবং ১৯৯৬ সালে ভোকেশনাল শাখা খোলার অনুমতি পায়। বিদ্যালয়ের মোট আয়তন ৪৬৫ শতাংশ। যার মধ্যে স্কুলের ভবন ১১০ শতাংশ, খেলার মাঠ ১০৫ শতাংশ, শিক্ষক আবাসন ৫৯ শতাংশ, আবাদি জমি ৬০ শতাংশ এবং বাগান ও পুকুর ৮১ শতাংশ।
প্রতিষ্ঠার তারিখ :- ৬ মে ১৮৯৭খ্রি:
EIIN No :- 112299
Center Code No :- 166
School code :- (General)- 2651
:- (Technical)-51005
প্রথম স্বীকৃতির তারিখ :- ২৩ নভেম্বর ১৮৯৭ খ্রি :(কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত)
এম.পিও সুবিধা :- আছে।
এম.পিও কোড :- ৩০০১০১১৩০২
উপবৃত্তি কোড :- ০১০৪১৬৪০
থানা কোড :- ১৫০
জেলা কোড :- ১৬
বর্তমান প্রধান শিক্ষকের নাম :- মোঃ ইউনুছ আলী, (বি.এস.সি-বি.এড)
যোগদানের তারিখ :- ২৯-০৯-২০০৩ খ্রি:।
তদানিন্তন নারায়ণগঞ্জ মহকুমার মফস্বল এলাকায় সর্বপ্রথম ১৮৯৭ ইং সনের ৬ ই মে তারিখে ‘‘আড়াইহাজার উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়’’ নামে এ বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠিত হলেও এর প্রকৃত প্রতিষ্ঠা আরও পূর্বকালে। বস্তত পক্ষে এটি ১৮৬৪ ইং সনে ‘‘বাংলা ছাত্রবৃত্তি বিদ্যালয়’’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং কালক্রমে ‘‘আড়াইহাজার মধ্য ইংরেজী বিদ্যালয়’’ হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে। এ দু’টি সত্মর পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অবশেষে ১৮৯৭ ইং সনে পূর্নাঙ্গতা লাভ করে ‘‘আড়াইহাজার উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়’’ হিসেবে এবং একই বছরের নভেম্বর মাসে স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে। তখন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন অখিল চন্দ্র রায়। প্রশাসনিক ও শিক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন অতুলনীয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ভিবিন্ন সত্মরেঅনের মহৎপ্রাণ ব্যক্তিবর্গের নাম জড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আড়াইহাজার সংলগ্ন দেবীপুরা গ্রামের বাবু কুঞ্জ বিহারী পাল আর্থিক সাহায্য এবং দু’জন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি জনাব মোঃ বশির উদ্দিন মুন্সী এবং অন্যজন তদানিমত্মন শিক্ষক জনাব আববাস আলী মৌলভী।
১৯৪৪ ইং হতে ১৯৬৫ ইং সন পর্যমত্ম ছিল স্কুলের চরম দুর্দিন। ১৯৪৪ খ্রি: দেশে অসহযোগ আন্দোলনের কারণে ছাত্র সমাজ মিছিল বের করত। এবং রাজ্য লোভী ইংরেজ ছাত্রদের উপর অমানুষিক অত্যাচার করত এর ভয়ে অনেক ছাত্র স্কুল ছেড়ে দেয়। এবং ১৯৪৭ ইং সালে বাংলা দু’ভাগে বিভক্ত হওয়ার কারনে হিন্দুরা পার্শববর্তী রাষ্ট্র ভারতে চলে যাওয়ায় ছাত্র সংখ্যা অভাবনীয় হারে কমে যায়। কারণ মুসলমানেরা তখনও ব্যাপকভাবে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেনি। নতুন নেতৃত্ব ও প্রশসনিক হাত বদলের ফলে ঘন ঘন প্রধান শিক্ষক বদল সুযোগ্য শিক্ষকদের বিদ্যালয় পরিত্যাগের কারনে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় ধস নামে। ১৯৬৫ সালের পর থেকে এ দুর্যোগ ধীরে ধীরে কাটতে থাকে। এবং বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল ও অন্যান্য আনুসাঙ্গিক ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটে। এর পর থেকে যথাক্রমে সুযোগ্য প্রধান শিক্ষকদের নেতৃত্বে বিদ্যালয়টির আজকের এই অবস্থান।
১। মোঃ শাহজালাল মিয়া - সভাপতি
২। মোঃ ইউনুছ আলী - সদস্য সচিব
৩। মোঃ আবু তালেব মোলস্না - কো-অপ্ট সদস্য
৪। মোঃ হাবিবুর রহমান - শিক্ষক প্রতিনিধি
৫। মোঃ ইয়াহিয়া - শিক্ষক প্রতিনিধি
৬। কল্পনা রানী মন্ডল - সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি
৭। মোঃ আক্তারম্নজ্জামান - অভিভাবক সদস্য
৮। জাকির হোসেন - অভিভাবক সদস্য
৯। বিশ্বনাথ ভৌমিক - অভিভাবক সদস্য
১০। মোঃ জসিম উদ্দিন - অভিভাবক সদস্য
১১। খাদিজা আক্তার - সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য
এস.এস.সি রেজাল্ট ২০০৯-২০১৪ ইং পর্যন্ত
পরীক্ষার সাল | মোট পরীক্ষার্থী | মোট পাস | পাশের হার | A+ | A | A- | B | C | D |
২০০৯ | ১৯৩ | ৮৯ | ৮৬.৪১% | ০৩ | ৩১ | ২১ | ২৭ | ০৭ | - |
২০১০ | ৮৫ | ৮০ | ৯৪.১২% | ০২ | ২৩ | ২৯ | ১৯ | ০৭ | - |
২০১১ | ৮০ | ৭৫ | ৯৩.৭৫% | ০৫ | ৪০ | ১৮ | ০৭ | ০৫ | - |
২০১২ | ১১৫ | ১১৪ | ৯৯.১৩% | ২১ | ৬৯ | ১৮ | ০৫ | ০১ | - |
২০১৩ | ১৪৯ | ১৪৯ | ১০০% | ২০ | ৬৯ | ৬০ | ১০ | - | - |
২০১৪ | ১৮২ | ১৮১ | ৯৯.৪৫% | ৫৯ | ১১৫ | ০৭ | - | - | - |
এস.এস.সি(ভোক:) রেজাল্ট-২০০৯-২০১৪ ইং পর্যন্ত
পরীক্ষার সাল | মোট পরীক্ষার্থী | মোট পাস | পাশের হার | A+ | A | A- | B | C | D |
২০০৯ | ৬৯ | ৫০ | ৭২.৪৬% | - | ১৯ | ২৮ | ০৩ | - | - |
২০১০ | ১০৪ | ৮৭ | ৮৩.৬৫% | - | ৪৭ | ৪০ | - | - | - |
২০১১ | ১০০ | ৬৬ | ৬৫.৩৫% | - | ৫৯ | ০৭ | - | - | - |
২০১২ | ১০৪ | ১০৩ | ৯৯.১৪% | ৩ | ৯৬ | ০৪ | - | - | - |
২০১৩ | ৪২ | ৪২ | ১০০% | ২ | ৪০ | - | - | - | - |
২০১৪ | ৬৪ | ৬২ | ৯৬.৮৭% | ৩ | ৫৯ | - | - | - | - |
জে.এস.সি রেজাল্ট-২০১০-২০১৩ ইং পর্যন্ত
পরীক্ষার সাল | মোট পরীক্ষার্থী | মোট পাস | পাশের হার | A+ | A | A- | B | C | D |
২০১০ | ১৩৪ | ১১২ | ৮৩.৫৮% | ৪ | ১১ | ৮ | ১৭ | ৫২ | ২০ |
২০১১ | ২৩০ | ২১৩ | ৯২.৬১% | - | ১৪ | ২৩ | ৪০ | ১১৩ | ২৩ |
২০১২ | ২৭৮ | ২৭৮ | ১০০% | ১১ | ৮৫ | ৯৬ | ৬৬ | ২০ | - |
২০১৩ | ২২১ | ২২১ | ১০০% | ৫৪ | ১৫৯ | ০৭ | ০১ | - | - |
আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রায় প্রতি বছরই মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্রিকেট, ফুটবল, সাঁতার, ও এ্যাথলেটিক্সে উপজেলায় চ্যাম্পিয়ন অথবা রানার্সআপ হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে এস.এস.সি, জে.এস.সি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন এবং এস.এস.সি, জে.এস.সি পরীক্ষায় বৃত্তি লাভ ও জেলার সেরা দশ স্কুলের পদার্পন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত।
আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টিকে মডেল কলেজে উন্নীত করন এবং বোর্ডের শ্রেষ্ঠ স্কুলে রূপান্তর।
ঢাকা হতে : সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল হতে অভিলাস বাস যোগে আড়াইহাজার কলেজ রোডে নামতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে/ রিক্সা যোগে আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌছাতে হবে।
নারায়নগঞ্জ হতে : নারায়নগঞ্জ হতে চিটাগাং রোডে এসে সেখান থেকে অভিলাস বাস যোগে আড়াইহাজার কলেজ রোডে নামতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে/ রিক্সা যোগে আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌছাতে হবে।
বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের আমত্মরিক প্রচেষ্টায় বিগত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষয় কৃতিত্ত্বের সাথে উত্তীর্ন হয়ে উক্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন নামিদামী কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে এবং তারা প্রশাসনিক ক্যাডার সার্ভিস, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস