Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলার ঐতিহ্য

আড়াইহাজার উপজেলা ইতিহাস ও ঐতিহ্য কোন দিক দিয়েও কম নয়। সব চেয়ে বেশী উল্লেখ করার মত ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে আড়াইহাজার উপজেলা সদর উপকন্ঠে। শহিদ মিনারের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত বহুদিনের জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে থাকা অট্টালিকাগুলোই তার সব চেয়ে বড় প্রমান। তখন দিল্লির সম্রাট মহামতি আকবর। তিনি শক্তি সাহস ধনে জনে এবং রাজ্য পরিচালনায় খুব পারদর্শিক ছিলেন। অন্য দিকে রাজ্য শাসন ও ক্ষমতার দিক দিয়ে তৎকালীন ভারতের রাজপুতারাও ছিলো খুব শক্তিশালী ও প্রভাবশালী। এই রাজপুতানারা কারো কাছে হার মানতোনা। সম্রাট আকবর একদিন ভাবতে লাগলেন কি করে রাজপুতানাদের তার অধীনে আনা যায়। সম্রাট আকবর খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি ছিলেন। তাই তাদেরকে তার অধীনে আনার চেষ্টা চালালেন। তিনি প্রথম ভাবলেন মানসিংহকে তার অধীনে আনতে হবে। তাই তিনি ভাবলেন মানসিংহকে তার প্রধান সেনাপতি করে তার ফুফুকে বিয়ে করলে সমগ্র ভারতের শাসন ক্ষমতা সম্রাট আকবরের অধীনে এসে যাবে। তিনি তাই করলেন। তার বৃদ্ধিতে জয়ী হলেন এবং সমগ্র ভারত সম্রাট আকবরের অধীসে এসে গেলো। এরপর সম্রাট আকবরের দৃষ্টি পড়লো বাংলাদেশের উপর। সম্রাট আকবরের সেনাপতি মানসিংহকে সৈন্য দিয়ে বাংলাদেশের বার ভূঁইয়াদের পরাস্থ করে বাংলাদেশ জয় করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন। তখন যশোহরের প্রতাপাতিত্ব, বাওয়ালের ফজল গাজী, ফরিদপুরের কন্দ্রপ রায়, বিক্রমপুরের চাঁদ রায়, কেদার রায়, সোনারগায়ের ঈশাখাঁ বিশেষ করে তাদের উপরই বাংলার শাসন ক্ষমতা ছিলো। সেনাপতি মানসিংহ বাংলাদেশে এসেই সর্ব প্রথম ময়মনসিংহে বার ভূঁইয়াদের পরাস্থ করে সোনারগাঁয়ের ঈশাখাঁকে পরাজিত করার জন্য রওনা হলে ঈশাখাঁর সাথে পথেই মানসিংহের প্রবল যুদ্ধ সংগঠিত হলো। যুদ্ধে মানসিংহ পরাজিত হয়ে ঈশাখাঁর সাথে বন্ধুত্ব করলে ঈশাখাঁকে সম্রাটের দরবারে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে যাওয়ার পর ঈশাখাঁকে সম্মান প্রদর্শন করে বললেন তাকে সম্রাটের দরবারে কোন প্রকার কর দিতে হবে না। তিনি স্বাধীন ছিলেন স্বাধীনই থাকবেন। দিল্লি থেকে ঈশাখাঁ বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় মানসিংহ তার সাথে কিছু রাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী সাথে দিয়ে বললেন, আপনাকে বাংলাদেশে রেখে যাওয়া আড়াইহাজার সৈন্যর শুধু মাত্র রসদ দিতে হবে এবং তাদেরকে আড়াইহাজারে থাকতে দিতে হবে। ঈশাখাঁ রাজী হলেন এবং সেদিন থেকে জায়গাটির নাম করণ করা হলো আড়াইহাজার।

এই আড়াইহাজার উপজেলা সদরে যে জরাজীর্ন অবস্থায় পরে থাকা দালান কোঠাগুলো আছে সেখাইনেই রাজ কর্মকর্তারা বাস করতো। পর্যায়ক্রমে পরবর্তীতে ওরাই আড়াইহাজারের জমিদার ছিলেন। গোপালদী পৌরসভায় কয়েকটি জমিদারের বাড়ি আছে। তাদের বসবাস করা জরাজীর্ন হয়ে পরে থাকা অট্টালিকাগুলো এখনো ইতিহাস ঐতিয্যের স্বাক্ষর বহন করে আছে। এছারাও  গোপালদী পৌরসভা একটি কাচারি বাড়ি আছে। অনেকে ইহাকে নীল কুটির বলে থাকে জনশ্রোতি আছে দুইশত বছর পূর্বে এই নীল কুটিরে ইংরেজ সাহেবরা বসবাস করত। ওরা এদেশে নীল চাষ করতো বহু দিনে ধরে ভগ্ন  অবস্থায় উপরে থাকা সেই ওয়ালগুলো এখনো সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহন করে চলছে। আড়াইহাজার উপজেলা ঐতিয্যের দিক দিয়ে অনেক সুনাম সুক্ষিতি রয়েছে। এই উপজেলায় অনেক শিক্ষিত উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানী গুনী ও কর্মকর্তা কর্মচারীর জন্ম স্থান। সরকারী প্রশাসনে অনেক উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা রয়েছে।